গ্যাস্ট্রিক-আলসার সারানোর প্রাকৃতিক উপায়
গ্যাস্ট্রিক আলসার দীর্ঘদিন ভোগার পরবর্তি পরিণতি। পাকস্থলী ছিদ্র হয়ে রক্তপাত এবং দীর্ঘদিন আলকাতরার মত কালো মল ত্যাগ করে রোগীর রক্তশূন্যতা ও অপুষ্টি প্রকাশ পেলে রোগ লক্ষণ দেখা দিতে থাকে। গ্যাস্ট্রিক আলসার জটিল উপসর্গ নিয়ে প্রকাশ হয়।
লক্ষণ
ক্ষুদার ভাব বা ক্ষুদা লাগলেও রোগী ব্যাথার ভয়ে খেতে চায় না। খাবার পর ব্যাথা বাড়ে এবং ১/২ ঘণ্টা পর ব্যাথার তIীবত্রা বাড়তে থাকে। কিছু সময় পরে ব্যাথা আপনা আপনিই কমে যায়। রোগী গলায় আঙ্গুল ঢুকিয়ে বমি করে এবং পেট খালি রাখতে পছন্দ করে । সুই দিয়ে খোঁচানোর মত ব্যাথা হয় । নাভীর একটু উপরের দিকে এবং বাম দিকে ব্যাথা অনুভূত হয়। ব্যাথা বৃদ্ধির সাথে বমিও বেড়ে যায়। অম্লপিত্ত ও অভুক্ত খাদ্যদ্রব্য বের হয়ে আসে। বুক জ্বালা করে এবং দাঁত ও মুখে টক ভাব থাকে।
রোগী উপুর হয়ে পেটের নিচে বালিশ চাপ দিয়ে শুলে এবং পানিতে ন্যাকড়া ভিজিয়ে পেটের উপর মালিশ করলে সাময়িক সময়ের জন্য।
ব্যাথার স্থানে চাপ দিলে ব্যাথা বেশি হয় এবং ব্যাথা বৃদ্ধির সাথে পেটে মাংশপেশী সংকুচিত হয়ে শক্ত ও কঠিন ভাব হয়।
খাওয়ার সোডা (Sodi-Bi-Carb) খেলে ব্যাথা কিছুটা কমে।
রোগীর নিদ্রা হয় না এবং দিনে দিনে রোগী দুর্বল ও পুষ্টিহীনতার শিকার হয়। চিন্তিত হয়ে পড়ে। অতিরিক্ত ব্যাথায় বা নাড়ি ছিদ্র (Perforation-পারফরেশন) হলে রক্ত বমি ও রক্ত মল বের হয়ে রোগীর রক্তশূন্যতা সৃষ্টি হয়। রোগীর মলে মিউকাস এবং তীব্র অম্লযুক্ত গন্ধ হয়। রোগীর শরীরে জ্বর থাকে এবং পাতলা পায়খানা করে। পেটে বায়ু সঞ্চার হয়।
দ্রব্যগুন ও চিকিৎসা
দীর্ঘদিনের এ রোগে কচি বেলের ৮/১০ গ্রাম টুকরা শুকনা করে কয়েক টুকরা বার্লির সাথে ২/৩ কাপ সিদ্ধ করে ৫/৬ দিন দুই বেলা খেলে খুবই উপকার হয়।
পথ্য ও স্বাস্থ্য শিক্ষা
স্বাভাবিক সকল খাবার খেতে হয়। খাদ্যবস্তু উত্তমরূপে চিবায়ে এবং নরম করে খেতে হয়। পেট খালি রাখা উচিত নয়।
বেশি ধূমপান, এলকোহল এবং নেশা সেবন হতে বিরত থাকা উচিত।
রোগের অল্প উপসর্গ দেখা দিলে সুচিকিৎসা করা উচিত।
প্রতি তিনমাস পরপর কৃমির ঔষধ খাওয়া উচিত ।
হাট বাজারের খোলা খাবার, বাসি এবং ভেজাল তৈলে ভাজা খাদ্য পরিহার করা উচিত।
Leave a Reply