ব্রেস্ট টিউমার কি? ব্রেস্ট টিউমারের লক্ষণ ও চিকিৎসা
টিউমার হলো দেহ কোষের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি। এটা কখনো Benine বা অক্ষতিকর আবার কখনো Malignant বা ক্যান্সার হয়। রূপে দেখা দেয়। প্রতিনিয়ত আমাদের দেহে পুরনো কোষ ধ্বংস হয়ে কোষ বিভাজনের মাধ্যমে নতুন কোষ তৈরি।
যেকোন টিউমার হলো দেহে অবস্থিত কোষসমূহের একপ্রকার স্ফিতি বা অস্বাভাবিক বৃদ্ধি। এটা কখনো বিনাইন বা দেহের জন্য ক্ষতিকর নয় আবার কখনো Malignant বা ক্যান্সার রুপ ধারন করে। প্রতিনিয়ত আমাদের দেহে পুরনো কোষ গুলো ধ্বংস হয়ে কোষ বিভাজন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নতুন নতুন কোষ সৃষ্টি হয়।
Breast Tumor- ব্রেস্ট টিউমার এর কারনঃ
হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসায় Breast Tumour বা Cancer এর কারণ হিসেবে মায়াজমকেই চিহ্নিত করা হয়েছে।

আরও যেসব কারনে ব্রেস্ট টিউমার হয়ঃ
১. পরিবারে আগে কারো স্তন ক্যান্সার হয়ে থাকলে
২. অতিরিক্ত চর্বি জাতীয় খাবার ও অতিরিক্ত মাছ মাংস খেলে
৩. বারো বছরের আগে ঋতুস্রাব হলে এবং দেরিতে ঋতুস্রাব বন্ধ হলে
৪. দীর্ঘ দিন ধরে জন্ম নিয়ন্ত্রন পিল খেলে এবং হরমোন ইনজেকশন নিলে
৫. দেরিতে সন্তান গ্রহণ করলে এবং স্নতাঙ্কে স্তন পান না করালে
৬. মদ্যপান: অতিরিক্ত মদ্যপান স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়।
প্রধান লক্ষণ বা উপসর্গসমূহ
- স্তনের ভেতরে পিণ্ড অথবা স্তন পুরু হয়ে যাওয়া
- স্তনের বোঁটা থেকে রক্ত নিঃসরিত হওয়া
- স্তনের আকার বা আকৃতির পরিবর্তন হওয়া
- স্তনের উপরের ত্বকের পরিবর্তন হওয়া (যেমন: গর্ত হয়ে যাওয়া)
- স্তনের বোঁটা ভেতরে ঢুকে যাওয়া
- স্তনের বোঁটার চামড়া কুচকে যায় অথবা চামড়া ওঠে যাওয়া
- স্তনের চামড়া লাল হয়ে যাওয়া
বিশেষজ্ঞদের মতে, কিছু সহজ নিয়ম মেনে চললে স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি অনেকাংশেই এড়ানো যায়।
এই সহজ নিয়মগুলো হলো-
১. শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। বিশেষত, স্থূলতার সাথে স্তন ক্যান্সারের একটি যোগসূত্র রয়েছে।
২. প্রত্যেক নারীরই প্রতিদিন আধঘণ্টা ব্যায়াম অথবা যেকোনো ধরনের শারীরিক পরিশ্রম করা উচিত। কেননা এটা নারীদের স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি থেকে অনেকাংশে মুক্ত রাখে।
৩. স্বাস্থ্যসম্মত খাবার খেতে হবে। সবজি জাতীয় খাবার যেমন, বাঁধাকপি, ফুলকপি, ফলমূল ইত্যাদি খাবার বেশি খেতে হবে। এ ধরনের সবজি খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুললে স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি এড়ানো যায়।
৪. অতিরিক্ত মদ্যপান বা মদ্যপান থেকে বিরত থাকতে হবে। স্তন ক্যান্সার কোনো লজ্জার বিষয় নয় বা কোনো গোপন রোগ নয়। প্রতি ৬ মিনিটে একজন নারী যে ক্যান্সারে আক্রান্ত হচ্ছেন, সেটাকে লজ্জার বা গোপন রোগ ভাববার আর কোনো সুযোগ নেই। আমাদের সকলের সচেতনতাই পারে স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে।
প্রাথমিকপর্যায়ে রোগ ধরাড়লে হোমিওপ্যাথিতে সম্পূর্ণ এবং সফলভাবে চিকিৎসা করা সম্ভব। হোমিওপ্যাথিতে বর্তমানে অনেক আরোগ্য দানকারী মেডিসিন রয়েছে, যেগুলোর শর্ত হলো প্রাথমিকপর্যায় রোগ নির্ণয়, সঠিক এনামনসিস এবং পাওয়ার, সেবন পদ্ধতি ও নির্বাচন সঠিক হলে ইনশা আল্লাহ ভালো হবেন। যেসব হোমিওপ্যাথিক ওষুধ বেশি ব্যবহৃত হয়, যেমন ফাইটোলককা, ব্রায়োনিয়া, আর্সেনিক এলব, কার্ব অ্যানিমেলিস, কোনিয়াম মেকুল্যাটাম, ক্যার্সিনোসিন, এক্স-রে ইত্যাদি। প্রয়োজনে সার্জিক্যাল চিকিৎসা নিতে হবে। ক্যামোথেরাপি, রেডিওথেরাপি সাহায্য করতে পারে।
স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধের উপায় :
০১. যত তাড়াতাড়ি আপনার রোগ ধরা পড়বে তত তাড়াতাড়ি সুচিকিৎসা সম্ভব।
০২. স্বাস্থ্য সম্পর্কে প্রত্যেককে সচেতন হতে হবে।
০৩. অতি লজ্জা চেপে যাওয়া থেকে বিরত হয়ে গার্ডিয়ান বা চিকিৎসককে বিস্তারিত জানাতে হবে।
০৪. বয়সন্ধিকাল শুরু থেকে নিয়মিত নিজে নিজে স্তন পরীক্ষা করতে হবে।
০৫. প্রতি বছর চিকিৎসক দ্বারা আলট্রাসনোগ্রাফ বা মেমোগ্রাফি করানো উচিত।
০৬. ৪০ বছরের বেশি বয়সীদের প্রতি বছর একবার মেমোগ্রাফি করানো ভালো।
০৭. যাদের বংশে আছে তাদের অতি সচেতন হতে হবে।
০৮. যাদের নিজ পরিবারে বোন, মা,খালা, ফুফুর থাকলে অতিসত্বর চিকিৎসকের পরামর্শ, পরীক্ষা সব বিষয়ে যতœবান হতে হবে।
০৯. যেহেতু সুনির্ধারিত কোনো কারণ জানা নেই, সেহেতু সম্ভাব্য ফ্যাক্টরগুলো এড়িয়ে চলতে হবে।
১০. পানের সাথে জর্দা, সাদা পাতা, পানমশলা পরিত্যাগ করতে হবে।
Comment (1)
ঢাকায় কোথায় বা কোন ডাক্তারের নিকট চিকিৎসা করলে স্তনে টিউমারের রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে এর সঠিক দিন