ফার্স্ট এইড বক্সের কাজ ও ব্যবহার
প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য যে সকল উপকরণ ব্যবহার করা হয় সেকল উপকরণ রাখার জন্য যে নির্দিষ্ট বক্স থাকে তাকে ফার্স্ট এইড বক্স বলে। এটি একটি অতীব গুরুত্বপূর্ণ বক্স হঠাৎ প্রয়োজন হলে এই বক্স হাতের কাছে থাকলে রোগীকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে কিছুটা সামলানো যায়। এর জন্য ফাস্ট এইড বক্স এ থাকা উপকরনের প্রাথমিক ধারণা থাকতে হবে যে কোন কাজের জন্য কোন উপকরণের বা উপাদানের প্রয়োজন? এটি প্রত্যেক স্কুল-কলেজ, অফিস-আদালত, কল-কারখানায়, বাসাবাড়িসহ সকল স্থানে ব্যবহার করা যায়। ফাস্ট এইড বক্স এর মধ্যে যে সকল উপাদান থাকে তার সংক্ষিপ্ত বিবরণ হলঃ-
জীবাণুমুক্ত গজ পিসঃ শরীরের কোন অংশ কেটে গেলে বা ক্ষত হলে সেখান থেকে রক্ত পড়া বন্ধ করে এবং জীবাণু সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা করে। শরীরের ক্ষতস্থান থেকে কোন তরল পদার্থ নিঃসৃত হলে তা শোষণ করে নেয় এবং বাহিরের ময়ালার হাত থেকে রক্ষা করে।
ব্যান্ডেজঃ শরীরের অতিরিক্ত রক্তপাত ও ড্রেসিংকৃত জায়গায় ভালোভাবে আটকে রাখার জন্য ব্যান্ডেজ ব্যবহার করা হয়।
অ্যান্টিসেপটিক ক্যালেন্ডুলাঃ শরীরের ক্ষত স্থান পরিষ্কার করতে ও জীবাণুমুক্ত করতে অ্যান্টিসেপটিকহিসেবেক্যালেন্ডুলা ব্যবহার করা যাবে। শরীরের কোনো স্থানে আঘাত লেগে চামড়া ছিড়ে গেলে বা কেটে গেলে এটির ব্যবহারে সঙ্গে সঙ্গে রক্ত পড়া বন্ধ করে এবং এটি শীঘ্রই ক্ষত আরোগ্য করে। এছাড়া অত্যন্ত পঁচা ঘায়ে এটি ব্যবহার করলে শীঘ্রই উপকার পাওয়া যায়।
ব্যাথার ঔষধঃ প্রচন্ড ব্যাথা থাকলে, প্রবল জ্বর হলে তাৎক্ষণিকভাবে ব্যাথা বা জ্বর কমানোর জন্য খাওয়া যেতে পারে।
রুবা ক্রিমঃ মাথা ব্যাথা, মাংসপেশীর ব্যাথা, শরীরের কোন অংশ পুড়ে গেলে সে পোড়া জায়গার ব্যথা কমাতে ও ঘা শুকাতে রুবা ক্রিম ব্যবহার করা যেতে পারে। তাছাড়া কাটা-ছেড়া, ক্ষতস্থানে পরিষ্কার করে এই ক্রীম লাগানো যেতে পারে।
গজ ব্যান্ডেজঃ খুবই দরকারি একটি উপকরণ যা সিলিন্ডার-রোল আকারে পাওয়া যায়।
তুলা বা কটনঃ নিরাপত্তার জন্য খোলা তুলার তুলনায় প্যাকেট তুলা ব্যবহারই ভালো।
সার্জিক্যাল ব্যান্ডেজঃ সহজেই কোনো ক্ষতের ওপরে এই ব্যান্ডেজ আটকে রাখা যায়। তবে খুব ভালো ব্যান্ডেজ হিসেবে এটি ব্যবহৃত হয় না।
কাঁচিঃ গজ, ব্যান্ডেজ ইত্যাদি কিংবা প্রয়োজন অনুযায়ী পরনের কাপড় কাটার জন্য কাঁচি দরকার।
সার্জিক্যাল গ্লাভসঃ ক্ষতস্থান ময়লা হাত দিয়ে পরিষ্কার করার চেয়ে এটা পরে পরিষ্কার করা নিরাপদ ও স্বাস্থ্যসম্মত।
থার্মোমিটারঃ শরীরের তাপমাত্রার পরিমাপ করার জন্য এর বিকল্প নেই। খুব সহজেই এটি দিয়ে জ্বর মাপা যায়।
জাস্টিসিয়াঃ শিশুদের সর্দি কাশি, সর্দিজ্বর ও হাঁচির আর একটি খুব ভালো ঔষধ জাস্টিসিয়া এডাটোডা (Justicia Adhatoda Q) বা বাসক। এটা আমাদের ভারতীয় উপমহাদেশের ঔষধ। নবজাতক শিশুদের ২ থেকে ৩ ফোঁটা, ১ বৎসরের অধিক বয়সের শিশুদের ৫ থেকে ৭ ফোঁটা করে ১ চা-চামচ কুসুম গরম পানির সাথে মিশিয়ে দিনে ৩ থেকে ৪ বার খাওয়াবেন। প্রতাশিত ফলাফল পেতে অন্তত ৩ থেকে ৫ দিন খাওয়াবেন।
Leave a Reply