বাইওকেমিস্ট্রিী অর্থ কি?

বাইওকেমিস্ট্রিী অর্থ কি? বাইওকেমিস্ট্রীর সহিত হোমিওপ্যাথির পার্থক্য কি?

বাইওকেমিস্ট্রিী অর্থ কি?

জীবন বা প্রাণ। উহা গ্রীক শব্দ। কেমিস্ট্রী ।  কেমিস্ট্রি(Chemistry) শব্দের অর্থ রসায়ন-শাস্ত্র। সুতরাং বাইয়স( Bios) শব্দের অর্থ এক কথায় বাইওকেমিস্ট্রী  শব্দের মানে হইবে- জৈব  রসায়ন বা  জীবদেহ  গঠনের উপযোগী রসায়ন পরম্পরা।

বাইওকেমিস্ট্রীর সহিত হোমিওপ্যাথির পার্থক্য কি?

 বাইওকেমিস্ট্রীর  অর্থ হলো জৈব রসায়ন বিদ্যা। ইহার মূল মন্ত্র হইল , দ্বাদশটি মাত্র পার্থিব লক্ষণ দ্বারা জীবের কোষময় দেহের  বর্ধন, পোষণ ও সুস্থতা রক্ষা হইয়া থাকে। ইহা বিশেষ বিশেষ লবণের অভাবের  দ্বারা  বিশেষ বিশেষ লক্ষণ সূচিত হয় এবং তদ্বারা বিশেষ বিশেষ রোগও সৃষ্টি হয়ে থাকে। ধাতব লবণের অভাব সূচিত হলে  সেই লবণটি  সূক্ষ্ম মাত্রায় প্রয়োগ করিতে হয় এবং  তদ্বারা  রোগও ভালো হয়। এক্ষেত্রে স্বভাবের অভাব পূরণ দ্বারাই রোগ আরোগ্য করা হইল।

পক্ষান্তরে হোমিওপ্যাথিকে সদৃশবিধান চিকিৎসা বলা হয়। ইহার মূল মন্ত্র হইল Similia Similibus Curantur ইহা একটি Latin Phrase অর্থ-Like things are cured by likes-সমঃ সমংঃ শময়তি

Homeopatheia, ইহা গ্রীক শব্দ Homeo-like,pathos- suffering: সদৃশ্যবিধান। আর বাইওকেমিস্ট্রির মতে চিকিৎসা ধাতব লবনের অভাব পীরন করা বা স্বভাবের অভাব পূরন করা। হোমিওপ্যাথির মূলমন্ত্র এই যেথায় কোন দ্রব্যের বিষক্রিয়ার ফলে কতকগুলি রোগলক্ষন উপস্থিত হয়েছে , অপর কোন স্বাভাবিক রোগের উপরোক্ত দ্রব্যটির উচ্চ ও উচ্চতর অর্থাৎ সুক্ষতম মাএায় প্রয়োগ করিলে তা আরোগ্য হয়। আর্সেনিকের বিষক্রিয়ার ফলে অস্থিরতা, অবসন্নতা,মৃত্যুভয়, পিপাসা,উত্তাপ, আকাঙ্খা, ইত্যাদি বিশেষ বিশেষ লক্ষ্মণ প্রকাশ পায় । কলেরা ইত্যাদি রোগে ঐ লক্ষ্মণগুলি যে যে ক্ষেত্রে প্রকাশিত হয়,তথায় আর্সেনিক সুক্ষ্মমাএায় প্রয়োগ করিতে হবে । এক একটি প্রুভিং দ্বারা অর্থাৎ বিশেষ নিয়মে পুনঃপুনঃ সেবনের পরে যে-সকল অর্থাৎ বিশেষ বিশেষ লক্ষ্মণ প্রকাশ পায় , সেগুলি একএে লিপিবদ্ধ হইয়া হোমিওপ্যাথি ঔষধের মেটিরিয়া মেডিকায় স্থান পেয়েছে । কিন্তু বাইওকেমিক মতে এক একটি লাবনিক অভাবের জন্য জীবনদেহে যে সকল লক্ষ্মণ প্রকাশ পায় তাহাই বাইওকেমিক ঔষধের মেটিরিয়া মেডিকায় স্থান লাভ করেছে ।

উদাহরন দ্বারা বুঝান যাক- দেহের মধ্যে কেলি ফস লবনের অভাব হলে রোগীর মধ্যে লক্ষ্মণপ্রকাশ পায়,যথা-(১) উত্তেজনা, (২) ভীতি, (৩) বিষণ্ণতা, (৪) নিস্পৃহতা (৫) অতি তৎপর প্রস্রাবের আকাঙ্ক্ষা, (৬) শিরোঘূর্ণন, (৭) ক্যান্সারের যন্ত্রণা, (৮) অতি অবসন্নতা ও প্রাণহীনতা ইত্যাদি। সুতরাং বাইওকেমিক মেটিরিয়া মেডিকার মতে ঐগুলি কেলিফস প্রয়োগ করিবার লক্ষণ। তাই স্নায়ুরোগ বা মনোরোগে সূক্ষ্মমাত্রায় কেলিফস প্রয়োগের দ্বারা অসংখ্য রোগীর আরোগ্য সম্পাদন করা সম্ভব হয়েছে।

Share this post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *