শতায়ু লাভের কার্যকরী নিয়ম কানুন এবং সকল সময় নীরোগ থাকার উপায়
ফল খান দশ ফলেরই দেশ বাংলাদেশ
শতায়ু লাভের কার্যকরী নিয়ম কানুন এবং সকল সময় নীরোগ থাকার উপায় সম্পর্কে জানতে হলে আমাদের ভোজনে, ক্রিয়া কর্মে ,ফলের জয় গুনাগুন সম্পর্কে জানতে হবে। খাদ্য তালিকায় বিচিত্র ফলের ব্যবহার চোখে পড়বে । সুনিবিড় বাগানের ঝূনো নারকেল শুধু যে স্বাধে গন্ধে আলাদা তাই-ই নয়, তার রাসায়নিক গঠনের তারতম্যে বলা যায় তার পথ্যমূল কসমেটিক গুন । এবং এই কারনেই এ দেশের শরীর বিজ্ঞানে ,আয়ূর্বেদশাস্ত্রে ফল এক অনন্ত আগ্রহের বিষয় । এক সময়ে পৃথিবীর এই ভূখণ্ডের নাম ছিলো জম্বুদ্বীপ । তম্বী তমাল তালি দিয়ে সাজানো উদ্যান আর অরণ্যবেষ্টিত এঈ দেশে কৃষ্ণ মাহাত্ম্যে যোগ হল “শ্রী” ফলের ।
ফলের যত গুন
বেলের আলৌকিক মহিমায় পাখ-পাখালিতে এ দেশে আম ফলে ছড়িয়ে খেয়ে বাগান নষ্ট করে, আমলকী যোগ হয় গৌতম বুদ্ধের প্রিয় তালিকায় হরীতকীসম্মানিত হয় পৌরহিত্য সংস্কারে-অথচ , এতদসত্ত্বে ও দেশের নামকরণে সম্মানিত হয় একটি ছোট্ট কৃষ্ণবর্ণ কষায় স্বাদযুক্ত ফল-জম্বু । অর্থাৎ কালোজাম । আশ্চর্য । সোনালী আম, মুক্তোবর্ণ নারকেল , মদগন্ধ কাঁঠাল-সব গড়াগড়িগেল,শেষ মেশ জম্বূ হল ফলেন্দারতার সমর্থন মেলে বৈদিক সূত্রে; যেখানে বলা হচ্ছে কম্বুই ফলশ্রেষ্ঠ, কারণ মিষ্টি ওকথায় দুই বিপরীতে রসের সহবস্থানে তা শ্রম , পিত্ত, ,দাহ কণ্ঠোশোস (পিপাসা) নিবৃত করে । অর্থাৎ তা একই সঙে শীতলহাওয়া ও নরম রোদের মতো । তাই তা সূর্য ও বায়ুর মিশ্র প্রতীক । যা কিনা এই ভূখণ্ডের ভৌগলিক প্রতিক। সে জন্যই এদেশর নাম জম্বুদীপ। আশ্চর্য না আসলে আমরা কতটাই বিস্মৃত হয়েছি আমাদের প্রাচীন জ্ঞানগম্যি । ভেষজ বিজ্ঞানী জানাচ্ছেন আমলকীর রস অকাল বার্ধক্য আনতে দেয় না তাই তার অন্য নাম ” বয়স্থ ” । প্রাচীন ভারতে”আম্রাতক” ছিল হৃদ্য ফলে অর্থাৎ তা প্রাণে শান্তি দেয় । মাধুরী দীক্ষিত কেন কাঁচা আমড়া নুন ছড়িয়ে খেতে ভালবাসেন । কেননা, আমড়া ত্বকই আমড়া । এমন আগ্রহের ফল নিয়ে আরও কিছু প্রাচীন টিপস আছে । আমড়ায় নুন ছড়িয়ে কথাতেই আরও মনে পড়ে
যে ফলটির কথা , সেটি কয়েৎ বেল সংস্কৃতে কুপিত । সেই কয়েৎ বেল মোটেই উপকারী নয়, খেলে গলা ভেঙ্গে যায়,হজমে ও গুরুপাক ।
ত্বকের দাগ দূর করুন ফল দিয়ে
অথচ ব্রন বা মেছতায় কাঁচা কয়েৎ বেলের রস , মুখে ঘষে লাগাতে হবে । তবে আজ মেখে কালআয়নায় দেখে হাল ছাড়লে চলবে না, বেশ কিছুদিন মাখতে হবে । যাদের চোখের পাতা খসে যাচ্ছে ঘন ঘন , তারা কয়েত বেলের ফুল বেটে অঞ্জনের মত লাগালে সেরে যাবে । যুগে যুগে লালিত এমন বহু ফল ব্যবহারের কথা তো এই ছোট্ট বন্ধ উপক্রমণিকায় শেষ হওয়ার নয় । পেঁপে যে কোনো রোগের পথ্যে থাকেই কারণ এটির খাদ্য গুণ যেমন আছে তেমনই ক্ষতিকর প্রভাব নেই একেবারেই। পেঁপে নিরাময় গুণে নিবিড় থেকে ব্রণ সব কিছুই যেমন সেরে যায় তেমনই মূখে ছিট ছিট দাগ ( ফ্রেকলস ) মেলাতেও পেঁপের জুড়ি নেই । কাঁচা পেঁপের মধ্যে যেমন ত্বকের মরা কোষ সারানোর ক্ষমতা আছে তেমনি পাকা পেঁপে ত্বক ও চুলে অপরিসীম আদ্রতা যোগাতে সক্ষম । পেঁপেতে ভিতামিন সি ও বি কমপ্লেক্স আছে । আনারসের স্বাদের আড়ালে লুকিয়ে আছে নানা গুন । এটি ত্বকের কড়া পড়া শক্ত অংশ যেমন নরম করতে পারে তেমনএটির রসে বিভিন্ন ত্বকের দাগ মিলিয়ে যায় । এটিতে ভিটামিন বি কমপ্লেক্স ও ভিটামিন সি রয়েছে ।
Comment (1)
[…] যেকোনো অসুবিধা হলেই যে ওষুধ খেতে হবে, তার কোনো মানে নেই। আমরা […]