সুস্থ থাকুন গাজর খান
সুস্থ থাকুন গাজর খান
গাজর হল একটি মূলজ সবজি। শীতের মরশুমে বাজাড়ে একে পাওয়া যায়। এর বিজ্ঞান সম্মত নাম হল-ডকাশ ক্যারোটা গাজর যেমন পুষ্টিকর সবজী তেমন শরীরের জন্য দারুণ উপকারী। একটি বড় মাপের গাজর থেকে আপনি ২২ ক্যালোরি শক্তি পাবেন।
উপকারিতা
- গাজরে প্রচুর ভিটামিন এ আছে। এই ভিটামিন ‘এ’ এর অভাবে শরীর ব্যাধিগ্রস্থ হয়ে পড়ে। শরীরের বৃদ্ধি থেমে যায়-শারীরিক ক্ষমতা কমে যায়। খাদ্যদ্রব্য হজম হতে অনেক দেরি লাগে, চামড়া খসখসে হয়ে যায়- ত্বকের রোগ দেখা দেয়।
- গাজর খেলে শরীর নরম ও সুন্দর হয়। শরীরে শক্তির সঞ্চার হয় আর ওজন বাড়ে।
- শিশুদের গাজরের রস খাওয়ালে দাঁত বেরোতে কোনো কষ্ট হয় না আর দুধও ঠিকমত হজম হয়।
- অর্শ, ক্ষয়রোগ, পিত্ত রোগে গাজর খেলে সুফল পাওয়া যায়। গাজরের রস মস্তিষ্কের পক্ষেও ভাল।
- শরীরের পুষ্টি এবং বুদ্ধির বিকাশের জন্য গাজর খাওয়া খুবই প্রয়োজন।
- গাজর খেলে রং ফর্সা হয়, মুখের সৌন্দর্য বাড়ে, কারণ গাজরে আছে রক্ত পরিষ্কার করবার গুণ।
- গাজরের বীজে জল মিশিয়ে বেটে পর পর পাঁচ দিন পান করলে মেয়েদের ঋতুপ্রাপ্তি হয়।
- গাজর সেদ্ধ করে পুলটিস বাঁধলে ক্ষত, ফোঁড়া আর সব রকমের খারাপ ধরনের ঘা সেরে যায়।
মুলোর মূল্য অনেক
মূলো প্রতিদিনের আটপৌরে সস্তা তরকারি। সস্তা ও সুলভ বলেই কিন্তু হেলেফেলার ন্য়-মুলোর অনেক গুণ, অনেক রোগ সারাবার ক্ষমতা রয়েছে। মূলো হল একটি জনপ্রিয় মুলজ সবজি। এটি শীতের ঠিকআগের সময় থেকে বাজারে ওঠে। যদিও বর্ষাকালেও এর চাষ হচ্ছে। মাটির নিচে থাকা স্ফীত মূল বা শিকড়কেই আমরা মুলো হিসেবে খাই। তবে বেশী দেরী করে মাঠ থেকে তুললে এতে আঁশ বা ছিবড়ে বেশী হয়ে যাবে এবং খাওয়া যাবেনা। বলা হয় এজন্য মাঘ মাসে মুলো খেতে নেই। কেবল নরম শ্বাস সবজি হিসেবে খাবেন। এর বিজ্ঞানসম্মত নাম হল- র্যাফাইনাস স্যাটাইভাস।
উপকারিতাঃ
- দুপুর বা রাত্তিরে গুরুপাক ভোজনের পরে মুলোর রসে পাতিলেবুর রস মিশিয়ে খেলে পেটের ব্যথা ও গ্যাস কমে যায়।
- কচি মুলোর স্যালাড খেলে খিদে বেড়ে যায়।
- মুলোর মধ্যে আছে জ্বর সারাবার গুণ।
- পিলের রোগে পরম উপকারী।
- শীতকালে কাঁচা মুলো খেলে কাজে উৎসাহ বাড়ে, খাবার সহজে হজম হয় এবং শরীরের পূষ্টি হয়।
- মুলোর শাক বেশি মাত্রায় খেলে প্রস্রাব ও মল পরিষ্কার হয়ে গিয়ে শরীরের গ্লানি বেড়িয়ে যায়।
- অর্শ রোগীরা মুলোর পাতা (শাক) বা মুলোরশাকের রস খেলে উপকার পাবেন।
- মুলোর শাক কাঁচা খেলে পিত্ত বৃদ্ধি পায় কিন্তু ঘিয়ে বা তেলে সাঁতলে নিয়ে শাক রান্না করে খেলে শরীরের পক্ষে সব দিক দিয়ে উপকারী।
- শুকনো মুলোর ঝোল রান্না করে এক ঘণ্টা অন্তর আধাকাপ করে গরম গরম পান করালে খিঁচুনি সারে। মুলো আর তিল একসঙ্গে মিশিয়ে বেটে খেলে শরীর ফোলা কমে আর যদি ত্বকের নিচে কোনো কারণে জল জমে তাও সেরে যায়। মুলোর পাতার ৫/৬ চামচ রস খাওয়ালেও তারাতারি কমে যায়।
- শুকনো মুলোর স্যুপ খাওয়ালে এবং শুকনো মুলো একটা কাপড়ের পুটলিতে বেঁধে সেক দিলেও অর্শের কষ্টে আরাম পাওয়া যাবে।
- মুলো পাতার রসে একটু সোডি-বাই-কার্ব মিশিয়ে খাওয়ালে প্রস্রাব পরিষ্কার হয় এবং কোন কারণে প্রস্রাব জমে থাকার নষ্ট (মুত্রাবরোধ) দূর হয়।
Leave a Reply